মির্জাগঞ্জে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই ॥ ভরসা বাঁশ, কলাগাছ ও কাঁদামাটি

মির্জাগঞ্জে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  শহীদ মিনার নেই ॥ ভরসা বাঁশ, কলাগাছ ও কাঁদামাটি

মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ঃ  পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। সরকারি- বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কলেজ মিলে ২১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৫ টিতেই নাই স্থায়ী  শহীদ মিনার। ২১শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা  দিবসের তাৎপর্য, ইতিহাস এবং এর গুরুত্ব সর্ম্পকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের  শিক্ষার্থীরা। একদিকে সরকারি তহবিলের অভাব অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির অবহেলার কারনে এসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলা শহরের কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দিবসটি পালন করলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যেগে কলাগাছ, বাঁশ, কাগজ ও কাদাঁমাটি দিয়ে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরী করে পালন করছে শহীদ দিবস।  
উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কলেজ মিলে ২১০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলার মোট ৭টি কলেজের মধ্যে ৬টি, ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১০৭টি, ৩০টি মাদ্রাসার মধ্যে একটিতেও  স্থায়ী কোন শহীদ মিনার নেই।  
উপজেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, মির্জাগঞ্জে ১৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ৩৫টি বিদ্যালয়ে স্থানীয় এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে শহীদ মিনার তৈরী করা হয়েছে । শহীদ মিনারের জন্য সরকারি কোন বরাদ্ধ না থাকায় সকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরী করা সম্ভব হয়নি।  তবে নিজ উদ্যেগে অনেক প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনার নিমার্ণ করছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুদ্দীন ওয়ালীদ জানান, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা দিবসসহ সকল জাতীয় দিবস অতি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। বিশেষ করে ওই দিবসগুলোতে উপজেলা সদরের কাছাকাছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু  গ্রাম অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব বেশি হওয়ার কারনে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গস্খহণ সম্ভব হয় না।   তাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র শহীদ মিনার তৈরি করা প্রয়োজন।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন এলাকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকার ফলে মহান আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা দিবসসহ সকল দিবস গ্রাম অঞ্চলে নিরবে পেরিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা ওই দিবসগুলো তাৎপর্য, ইতিহাস ও গুরুত্ব সর্ম্পকে অজ্ঞই থেকে যায়। তবে এলাকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।